নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সােনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসাের্টে মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করার পর হামলা – ভাঙচুর এবং মহাসড়কে নাশকতায় সম্পৃক্ত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের এক নেতা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক কাউছার আলম এর আদালেত এ জবানবন্দি দেন ইকবাল হােসেন (৫০)। ইকবাল হেফাজত ইসলাম সােনারগাঁ থানা শাখা কমিটির সহ – সভাপতি এবং খেলাফত মজলিসের সভাপতি।
পুলিশের দুইটি মামলায় প্রধান আসামি তিনি আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সােনারগাঁয়ে র্যায়েল রিসাের্ট ভাঙচুর, সহিংসতার ঘটনায় নাশকতা ও সন্ত্রাস বিরােধী আইনের পুলিশের করা দুইটি মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ইকবাল হােসেন। জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্তার দায় স্বীকার করেছেন।
এর আগে ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকার জুরাইন রেলগেট বাজার মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ১২ এপ্রিল দুপুরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে আদালত থেকে ইকবাল তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৩ এপ্রিল সােনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসাের্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লােকজন। পরে রিসাের্টটিতে হামলায় চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান হেফাজত কর্মীরা। রিসাের্ট ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বাজারের দোকানপাট, স্থানীয় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কেও তাণ্ডব চালান তারা। গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযােগ করা হয়। ওই ঘটনায় হেফাজত, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে সাতটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে ।